আমরা যারা নোয়াখাইল্লা

লিখেছেন লিখেছেন এম এইচ রাসেল ০৭ এপ্রিল, ২০১৪, ১০:৩৫:৪১ রাত



অনেকের মতে আমাদের নোয়াখালী পৃথিবীর দ্‌বিতীয় জাপান, অথবা চীন। পৃথিবীর সকল জায়গায় নোয়াখালীরর মানুষ আছে, এমনকি অনেকে নাকি আমাজন মহাবনেও নোয়াখালীর মানুষ দেখতে পেয়েছে।।

বাংলাদেশের অন্য জেলা গুলো হতে নোয়াখালী জেলা অনেক কারণে অন্যতম। বিশেষ করে আমাদের ভাষা এবং বুদ্ধির জন্য।।

আমাদের ভাষা নোয়াখালীর আশ-পাশের জেলার লোকেরা এবং ইংরেজি, আরবি, ফারসি, উর্দু, হিন্দি, ভাষায় শিক্ষিত লোকেরা ছাড়া বুজে না।

বিশ্‌বাস না হলে কিছু উদাহরণ দেই........।

#ইংরেজিঃ নোয়াখালীর লোকেরা 'আমি' কে বলে আই।

→ এখানে আই (I) ইংরেজি শব্দ, যার অর্থ আমি।

আরেকটা আনকমন উদাহরণ দেই, আরবিতে...

#আরবিঃ 'দুষটুমি করা' নোয়াখালীর লোকেরা বলে খন্নাশি করা।

→এখানে খন্নাশি শব্দটি আরবি খান্নাস শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ শয়তান। অর্থাৎ, খন্নাশি করা মানে শয়তানি বা দুষটুমি করা।

#সুতারাং, এতোগুলা ভাষা নিয়ে যারা কথা বলে তাদের ভাষা বুজতে হলে অবশ্যই আপনাকেও সব গুলা ভাষা জনতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

১৪১২ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

204110
০৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:৪৭
বিন হারুন লিখেছেন : আন্নারা পানিকে হানি কন ক্যান? পানি যদি হানি হয়. হানি কি হবে?
০৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:০৩
153253
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : Tongue Tongue
০৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৩০
153259
নিমু মাহবুব লিখেছেন : আপনি তো বুঝেন নাই। নোয়াখালিতে যে পানি পাওয়া যায় তা মধুর মত মিষ্টি তাই বাংলায় না বলে ইংরেজিতে বলে। এইবার বুজ্জেন নি???
204128
০৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:০৩
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : নোয়াখালীর রাজধানীর নাম কি ?
204130
০৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:০৫
নাবীল লিখেছেন : হানির অপর নাম জীবিন,মধু নামক হানি দিয়ে মানুষের জীবন বাছেনা,তাই সঙ্গত কারনেই পানি কে আমরা হানি বলি।
204133
০৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:১০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : নোয়াখাইল্লার জ্বালায়...
এই দেশে বাচন দায়!!!!!!!
০৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৩১
153260
নিমু মাহবুব লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
Happy>- Happy>- Happy>- Happy>- Happy>- Happy>-
০৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৩২
153261
নিমু মাহবুব লিখেছেন : :Thinking :Thinking :Thinking :Thinking :Thinking
204219
০৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৪:২২
সাদাচোখে লিখেছেন : ২০০২ সালের কথা। হিউস্টনে এক বাংলাদেশী ক্যামিস্টের বাসায় দাওয়াত খেতে গিয়েছিলাম। ওখানে অনেক লোকের মধ্যে যে মানুষটি বিশেষ সন্মান পাচ্ছিলেন তিনি একজন বয়স্ক প্রফেসর এ্যামেরিটাস ছিলেন। বাড়ী খুলনা। উনি ৯/১১ পরবর্তী বুশ সরকারের নেওয়া ফরেনারদের প্রতি ডিসক্রিমিনেশানমূলক ব্যবস্থার পক্ষে খুব জোরে শোরে যুক্তি দিচ্ছিলেন।

উপস্থিত প্রায় সবাই ওনাকে সন্মান দেখিয়ে আইন, মানবতা, অপ্রমানিত বিষয়, গায়ের চামড়া ইত্যাকার কারণ দেখিয়ে বিপক্ষে যুক্তি দিচ্ছিল। ওনার বয়স ও সন্মানের জন্য কেউ ডিসাইসিভ কিছু বলছিলনা।

একপর্যায়ে বিতর্ক এমন একটি জায়গায় পৌছালো ভদ্রলোক বুশের এ্যাকশানকে যথার্থ বুঝাতে আমাদেরকে ওনার এক স্কুল ও কলেজ ফ্রেন্ড এর গল্প শুনালেন। বললেন উনি ঐ বন্ধুর সাথে প্রাইমারী, হাইস্কুল ও কলেজ এ পড়েছেন। এমন কিনা খুব কম দিনই ছিল - যে দিন না উনি ওনার ঐ বন্ধুর বাসায় না গিয়েছেন, খেলেছেন, দেদারসে আড্ডা দিয়েছেন এবং খাওয়া দাওয়া করেছেন। ঐ বন্ধু ছিল ওনাদের তুলনায় অনেক ধনী, আর বন্ধুটি ছিল ওনার তুলনায় ভাল ছাত্র, ভাল স্মার্ট ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু কলেজের ফাইনাল পরীক্ষার আগে ঘটনাক্রমে উনি জানতে পারেন - ঐ ছেলেদের অরিজিনাল বাড়ী ছিল নোয়াখালী আর ঐ ছেলের বাবা নোয়াখালী হতে এসে খুলনায় সেটেল হয়েছে। ব্যাস সেই থেকে উনি না গিয়েছেন ঐ বন্ধুর বাসায়, না কোন যোগাযোগ রেখেছেন। এ থেকে উনি কনক্লুশান টানলেন - আমি যদি একটা এলাকাকে পছন্দ না করার কারনে ছোটবেলার সম্পর্ক ছেদ করতে পারি - তাহলে বুশ কেন ৯/১১ এর কারনে মুসলিমদের কে দেশ থেকে বের করে দিতে পারবেনা? বলে এমন ভাব করেছিলেন - যেন এর চেয়ে আর কোন বড় যুক্তি আর নেই ই।

উপস্থিত সবাই প্রেফেসার এ্যামেরিটাস এর দিকে অবাক বিস্ময়ে হাঁ করে তাকিয়ে ছিল। আমি অনেক কষ্টে বলতে পেরেছিলাম - স্যার আপনি কেন আপনার জেনারেশানকে এ দেশে রাখছেন? উপস্থিত সবাই গুনগুনিয়ে উঠেছিলেন। পুরো আড্ডাটাই তিতো হয়ে গিয়েছিল। খাবার খেয়ে কেউ যেন কোন মজা পাচ্ছিলনা।
362895
১৯ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০১:৩৩
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File